প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও আমাদের এডুটেক ইন্ডাস্ট্রি
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ , তরুণ নির্ভর এই দেশের ক্লাসিক যে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া চলে সেখানে যে অপ্রতুলতা রয়ছে তাতে এই দেশে এডুটেক এর একটা বিশাল বাজার রয়েছে বলে আমি মনে করি । প্রায় ১,২০০ জন প্রতি কিমি জনবসতির এই দেশের গড় লিটারেসি রেট প্রায় ৭৫% এর কাছাকাছি , প্রায় ২ কোটি ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৮১৬ জন শিক্ষার্থীর জন্য এ দেশে প্রায় ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৫৫ জন এর মত সরকারি , বেসরকারি , পার্সোনাল এডুকেশন বা প্রফেশনাল এডুকেশন এর শিক্ষক রয়েছে কিন্তু স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সংখ্যা মাত্র ৩৬,৮০৫ টি যার মধ্যে আধুনিক ক্লাস কম্পোনেন্ট নিয়ে , শিক্ষক ট্রেনিং বা ইত্যাদির মাধ্যমে সারা দেশে সুষম এডুকেশনাল কন্টেন্ট বা নলেজ শেয়ারিং এর সুযোগ আছে বলে মনে হয়না ।
এর থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে এই ধরনের শিক্ষা ক্ষেত্রে কারিগরি কিংবা প্রফেশনাল এডুকেশন এর যে ঘাটতি তাও অপ্রতুল এবং বর্তমান বিশ্বের কর্ম পরিধির সাথে খুবই বেমানান । আবার যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অন্যদের মাঝে তাদের জ্ঞান শেয়ার করতে চান তার জন্য অফলাইন মেথড এ এই নলেজ শেয়ারিং ও অতটা সহজ নয় । এই সব মেট্রিক্স এর কথা মাথায় রেখেই আমার ধারনা – ইশিখন , কেয়ার টিউটর , এনিগমা , শিখো , টেন মিনিটস স্কুল , ঘুড়ি লার্নিং এর মত প্রতিষ্ঠান গুলির জন্য জন্য বিশাল একটা বাজার আমাদের দেশে রয়েছে । এই সকল আইসিটি পরিবারের প্রতিষ্ঠান গুলিকে বৃহৎ আকারে দেশের শিক্ষা খাতে অবদান রাখার সুযোগ করে দিতে দরকার – আমাদের ইন্টারনেট ইফ্রাস্টাকচার এর সহজিকরন , সরকারী ভাবে বিভিন্ন পলিসি সুবিধা , প্রয়োজন কন্টেন্ট স্টোরেজ ও স্ট্রিমিং এ বিশেষ সুবিধা ইত্যাদি ।
এজন্য আমি মনে করি আমাদের আই এস পিবি , মোবাইল নেটোয়ার্ক প্রতিষ্ঠান , সার্ভার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি , সি ডি এন সার্ভিস কোম্পানি গুলির পাশাপাশি সরকার ও নীতি নির্ধারকদের একটা ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা তৈরি হলে – আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তথা , দক্ষ কর্মী উৎপাদন এ একটা বৈশ্বিক মানের উন্নয়ন নিয়ে আসা সম্ভব । আমার এবারের নির্বাচনের একটি অন্যতম অঙ্গীকার হচ্ছে আমি এই প্রতিষ্ঠান গুলির জন্য আপ্রাণ এডভোকেসি করতে চাই । আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ , বেসিস ও স্মার্ট এডুকেশন প্রতিষ্ঠায় যৎসামান্য অবদান রাখতে চাই – আপনাদের দোয়া ও সমর্থন ।